Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , , , » নগর দর্পণ: চট্টগ্রাম- আওয়ামী লীগের মেজবান ও র‌্যাবের নতুন গল্প by বিশ্বজিৎ চৌধুরী

নগর দর্পণ: চট্টগ্রাম- আওয়ামী লীগের মেজবান ও র‌্যাবের নতুন গল্প by বিশ্বজিৎ চৌধুরী

লালদীঘির ময়দানে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, সন্ত্রাস-সহিংসতা-সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া অভিমুখে লংমার্চ করবে আওয়ামী লীগ।
শুনে মনে হয়েছিল, এটা নেহাত পলিটিক্যাল স্টান্ট। কিন্তু সত্যি যেদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) তাঁর নেতৃত্বে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমন্বয় পরিষদ’-এর ব্যানারে সাতকানিয়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করল কয়েক শ গাড়ির বহর, সেদিন একধরনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষ। যদিও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নেতারা পত্রিকান্তরে বলেছেন, ‘লংমার্চে যাঁরা আসবেন, তাঁরা আমাদের মেহমান। আমরা তাঁদের স্বাগত জানাব। এ ছাড়া আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই।’

কিন্তু সাধারণ মানুষ এতে আশ্বস্ত হতে পারেনি। কারণ, মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে-পরে সাতকানিয়ায় যে ধরনের সন্ত্রাস-সহিংসতা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় তাণ্ডব শুরু হয়। ওই সময় থেকে এযাবৎ এই অঞ্চলে খুনই হয়েছে নয়জন। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, শত শত গাছ কেটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক অবরোধ, বিদেশি পর্যটকের ওপর হামলা, পুলিশ-বিজিবির ক্যাম্প ঘেরাও করে বোমা নিক্ষেপসহ হেন কোনো দুষ্কর্ম নেই, যা এখানে সংঘটিত হয়নি। এমনকি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাতক্ষীরা, সীতাকুণ্ডের মতো গোলযোগপ্রবণ এলাকাগুলো অনেকটা শান্ত হয়ে এলেও সাতকানিয়ার জামায়াত কর্মীরা ছিলেন সক্রিয় ও আক্রমণাত্মক। সুতরাং দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নেতারা যতই আশ্বাসবাণী প্রচার করুন যে লংমার্চের যাত্রীরা তাঁদের মেহমান, তাঁদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তাঁরা, তাতে আশ্বস্ত হতে পারেনি এ অঞ্চলের মানুষ। বরং ‘স্বাগত’ জানানোর ধরনটি কী রকম হতে পারে, এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়নি তখনো।
যা-ই হোক, মহিউদ্দিন চৌধুরীর লংমার্চের ঘোষণা যে জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি করেছিল, তার বাস্তব ভিত্তি নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। অবশেষে যাবতীয় শঙ্কার অবসান ঘটেছে ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন নগর থেকে যাত্রা শুরু করে লংমার্চ পটিয়া ও দোহাজারীতে দুটি পথসভা করে সাতকানিয়ার কেরানীহাটে নির্ধারিত জনসভাস্থলে গিয়ে পৌঁছে বিকেলে। সেখানে নির্বিঘ্নে জনসভা সম্পন্ন করে লংমার্চ নগরে ফিরে আসে রাতে।
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমন্বয় পরিষদ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই লংমার্চ মূলত আওয়ামী লীগেরই একটি কর্মসূচি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই লংমার্চ থেকে কী পেল আওয়ামী লীগ?
সুদূরপ্রসারী লাভ-ক্ষতির হিসাবে না গিয়েও এ কথা বলা যায়, এই লংমার্চ দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙা করেছে। সর্বোপরি সাতকানিয়াকে জামায়াতের দুর্ভেদ্য দুর্গ বলে যে মিথ প্রচারিত ছিল, সেই মিথকেও ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কেরানীহাটের জনসভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা শান্তির বাণী নিয়ে এসেছি।’ তিনি জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘সাতকানিয়াবাসী বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। আপনারাও ব্যবসা করেন, লেখাপড়া করেন। কিন্তু সহিংসতা, নারী নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ থেকে বিরত থাকুন।’ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন, এই সহজ বক্তব্যের মধ্যে একধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি আছে। সাতকানিয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা নন, তাঁদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়ার জন্য অন্যত্র যেতে হয়, এ কথাটি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি প্রকারান্তরে সহিংসতার দায়ে অন্যত্র তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন বার্তাও দিয়ে রেখেছেন বলে মনে করেন মহিউদ্দিনের ঘনিষ্ঠজনেরা।
আপাতত শান্তিপূর্ণভাবে লংমার্চ শেষ করতে পেরে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উদ্দীপ্ত। সেই উদ্দীপনাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্যই কি না জানি না, সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীর জন্য এবার মেজবানের আয়োজন করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে এই মেজবান অনুষ্ঠিত হবে। সাংসদ ও শিল্পী মমতাজ এ অনুষ্ঠানে গান গাইতে আসবেন বলেও জানা গেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষের সঙ্গে একটা দিন আমরা অন্যভাবে কাটাতে চাই। আমরা সাতকানিয়ার মানুষকে আস্থায় নিতে চাই, উদ্বুদ্ধ করতে চাই। যেন সহিংসতাকে সবাই রুখে দাঁড়ায়।’
চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী আপ্যায়নের প্রথা ‘মেজবান’। সহিংসতার বিরুদ্ধে এই ঐতিহ্যের ধারা কতটা কার্যকর হয়ে ওঠে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
র‌্যাবের নতুন গল্প
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও মানবাধিকারকর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যতই সোচ্চার হোন না কেন, সাধারণ মানুষের মনে এ নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। একসময় ‘ক্রসফায়ার’ ও সাম্প্রতিককালে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শিরোনামে যে গল্পগুলো র‌্যাব-পুলিশের বরাত দিয়ে প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে, তার অধিকাংশই যে বানানো, এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই দেশবাসীর। তবে ‘সন্ত্রাসী দমনে’র এই পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হয়তো উন্নতি হচ্ছে, এমন একটি আপাতস্বস্তিকর ধারণা থেকে ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ তা-ই পেয়ে আসছে র‌্যাব-পুলিশ। কিন্তু পুরো বিষয়টা যে ক্রমেই বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
র‌্যাব বন্দুকযুদ্ধের একই গল্প পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে সংবাদমাধ্যমগুলোয়। সেই বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কি না জানি না, চট্টগ্রামে সম্প্রতি নতুন একটি গল্পের অবতারণা করেছে তারা।
১১ ফেব্রুয়ারি সকালে অফিসে যাওয়ার পথে মৃদুল চৌধুরী নামের একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে র‌্যাবের সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, র‌্যাবের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার কারণেই এই পরিণতি হয়েছে তাঁর।
অপহূত মৃদুলের ভাই জানান, গত বছরের ৩ অক্টোবর র‌্যাব-২-এর মেজর রকিবুল আমিন এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০ ভরি স্বর্ণ কেড়ে নেন। এ ঘটনায় মৃদুল চৌধুরী ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে মামলা করেন রকিবুল আমিন, র‌্যাবের সোর্স ফাহাদ চৌধুরী ও গাড়িচালক বাবুল পালের বিরুদ্ধে।
মেজর রকিবুল আমিন যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মৃদুল চৌধুরীকে তিনি চেনেন না বলেও জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে বিপুল চোরাই তেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর রকিবুল আমিন। এর পর থেকেই একটি চক্র তাঁর পেছনে লেগে আছে। সোনা কেড়ে নেওয়া ও ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনাটি সাজানো বলে তিনি জানান।
গল্পটি নতুন। এখন অপহরণের ঘটনাটি ‘সাজানো’ নাকি র‌্যাবের গল্পটি ‘বানানো’—এটি প্রমাণের দায় র‌্যাব বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বর্তায় না?
অপহূত হওয়ার ছয় দিন পর গতকাল সোমবার ভোরে কুমিল্লার কংসনগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরীকে। জীবন ফিরে পেয়েছেন তিনি; তবে স্বর্ণ ফিরে পাবেন কি না, জানি না। এ ব্যাপারটি এখানেই শেষ হলে প্রকৃত রহস্যের জট কিন্তু খুলবে না।


বিশ্বজিৎ চৌধুরী: কবি, লেখক ও সাংবাদিক।
bishwabd@yahoo.com

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment