Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , » আজ-কাল-পরশু- একটাই এজেন্ডা: দ্রুত নির্বাচন by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর

আজ-কাল-পরশু- একটাই এজেন্ডা: দ্রুত নির্বাচন by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর

আপাতদৃষ্টিতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সরকার, জাতীয় সংসদ, অর্থনৈতিক কাজকর্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন—প্রায় সবই এখন স্বাভাবিক। কিন্তু সবাই জানেন, এই ‘স্বাভাবিকের’ পেছনে রয়েছে ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘অস্বস্তিকর’ পটভূমি।
তাই প্রচলিত অর্থে যাকে আমরা ‘স্বাভাবিক’ বলি, বর্তমান পরিস্থিতি সেই অর্থে ‘স্বাভাবিক’ নয়। তবে গায়ের জোরে (বা দলের জোরে) এই অস্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করা যায়। যেমন এখন অনেকে করেছেনও। তাতে অস্বাভাবিকতাকে মাটিচাপা দেওয়া যায় না। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যদের দিকে তাকালেই ভোটের পুরো চিত্রটি জনমানসে ভেসে ওঠে। গায়ের জোরে তা মুছে ফেলা সম্ভব হয় না।

তবে দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এ রকম অস্বাভাবিক ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ যে আগে কখনো হয়নি, এমন নয়। তবে সেগুলো হয়েছিল সেনাশাসনের সময়। আমাদের দুর্ভাগ্য, এবার এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গণতান্ত্রিক আমলে এবং আরও কষ্টের হলো, তা হয়েছে গণতন্ত্রের নামে, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য।
পুরোনো কাসুন্দি বেশি ঘেঁটে লাভ নেই। তবু দু-একটি কথা বলতেই হবে বর্তমান পরিস্থিতি বোঝার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নির্বাচনপূর্ব অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীই বলেছিলেন: ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধান রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার নির্বাচন। প্রকৃত নির্বাচন পরে অনুষ্ঠিত হবে।’ এই বক্তব্যকে ভিত্তি ধরে এখনকার রাজনৈতিক আলোচনা, কলাম লেখা, টক শো ইত্যাদি আবর্তিত হওয়া উচিত। অন্য যেকোনো আলোচনা এখন অর্থহীন ও সময় নষ্ট করা মাত্র। আমাদের ধারণা, ২০১৪ সালে এটাই প্রধান এজেন্ডা হতে হবে। কার্যকর সংসদ, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা, সরকারের ছয়টি অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প ইত্যাদি বিষয় এখন আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে না। এগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি, সন্দেহ নেই। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি একটি সঠিক, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন। যে সংসদে জনগণ (ভোটার) ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের সরকার গঠন করবেন। সেই নির্বাচনে কে জিতবে, তা কেউ বলতে পারে না। আওয়ামী লীগ যদি জেতে, তাহলে তারা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এখন যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, তারা নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন শুরু করলে তা সঠিক কাজ হবে না। তা জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বরখেলাপ করা হবে।
প্রকৃত অর্থে বর্তমান সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একটি অর্থপূর্ণ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হলো, সেই কাজ কীভাবে শুরু হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকার তথা মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভালো জানেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আমরা কয়েকটি প্রস্তাব দিতে পারি। আমরা মনে করি, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক দেশের প্রধান সব দলের কয়েকজন প্রতিনিধিকে একটি সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। সভার এজেন্ডা হবে: ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন।’ সেই সভা থেকেই আমরা জানতে পারব, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল কীভাবে নির্বাচন চায়। বিষয়টা শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমস্যা নয়। জাতীয় সমস্যা। কাজেই প্রধান রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সক্রিয় নাগরিক ফোরাম, মিডিয়া ফোরাম ইত্যাদির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা হওয়া উচিত। গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী বেশির ভাগ দল ও ফোরাম যেভাবে আগামী নির্বাচন আয়োজন করার পরামর্শ দেবে, সরকারের উচিত হবে সেটাই বাস্তবায়ন করা। গণতন্ত্র হলো আলাপ-আলোচনা ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া। আমরা কিন্তু কেউ জানি না, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন ফোরাম ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচন আয়োজন সম্পর্কে কী মতামত বা মনোভাব পোষণ করে। শুধু এটুকু আমরা দেখেছি, ১৪-দলীয় জোট ও আওয়ামী ঘরানার সংগঠন ও ব্যক্তিরা ছাড়া দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন নাগরিক ফোরাম, বেশির ভাগ মিডিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বা নিয়মরক্ষার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। আশা করি, সরকারের তথ্য ও গবেষণা বিভাগ এ ব্যাপারে অবহিত।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, সরকার যদি ফেব্রুয়ারি মাসে এ ব্যাপারে কোনো সভা না ডাকে, তাহলে কী হবে? বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ফোরাম ও মিডিয়া সরকারকে এই সভা ডাকার জন্য নানাভাবে চাপ দিতে হবে। নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারকে চাপ দিতে হবে। এসব কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিদেশি বন্ধুদের বলতে হবে, তারাও যেন সরকারকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করে।
তৃতীয় প্রশ্ন হলো, নানামুখী চাপের পরও যদি সরকার এ ব্যাপারে কোনো সভা না ডাকে, অনড় থাকে, তাহলে বিভিন্ন দল কী করতে পারে? বিভিন্ন দল ও ফোরামকে তখন আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করতে হবে, তাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হতে পারে। নানা গণতান্ত্রিক, স্বীকৃত ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছাড়া সরকারকে নতি স্বীকার করানোর আর কোনো পথ নেই।

এখানে একটা কথা আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই। সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন ছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়ে কথা হতে পারে না। এই সরকারের অন্য কোনো নীতি বা কাজের সমালোচনা করাও অপ্রয়োজনীয়। মনে রাখতে হবে, এই সরকার কোনো বড় কাজ করার জন্য নির্বাচিত হয়নি। তারা শুধু নিয়মরক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। যদি তারা বড় বা ছোট কোনো প্রকল্প হাতে নেয়, তা নিয়ে পরে নানা সমস্যা হতে পারে, যদি অন্য দল ক্ষমতায় আসে। বর্তমান সরকার শুধু সরকার পরিচালনার রুটিন কাজ করবে। এবং সত্যিকার অর্থে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। এটাই একমাত্র কাজ। সেই নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোট বিজয়ী হলে তারা তখন তাদের স্বপ্নের সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। কেউ তাদের বাধাও দেবে না, সমালোচনাও করবে না।
চতুর্থ প্রশ্ন হলো, সব রকম গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও যদি সরকার নির্বাচন না দেয়, তাহলে কী করতে হবে? কিছুই করার নেই। তখন সরকার ও ১৪-দলীয় জোটের শক্তির কাছে বাকি সব দল, ফোরাম, মিডিয়া, গণতন্ত্রকামী জনগণ পরাজয় মেনে নেবে। যেমন ১৮-দলীয় (এখন ১৯-দলীয়) জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে না পেরে পরাজয় মেনে নিয়েছে। রাজনীতিতে কৌশল ও শক্তিরও জয়-পরাজয় আছে এবং তা মেনে নিতে হয়। তবে কোনো জয় বা পরাজয় চিরস্থায়ী নয়। রাজনৈতিক দল ও নেতাদের এ জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
বর্তমান সরকার যদি গায়ের জোরে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে, তারা বাস্তবতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা গায়ের জোরে একটা ‘অস্বাভাবিক অবস্থা’ জিইয়ে রাখতে চায়। জনগণ এগুলো পছন্দ করে না। নেতার জোরে, দলের জোরে, সরকারের জোরে, নানা বাহিনীর জোরে কোনো ‘অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড’ জনগণ কখনো পছন্দ করে না। সব মানুষ রাস্তার প্রতিবাদে শামিল হয় না নানা কারণে। তবে মনের মধ্যে পুষে রাখে যত ক্ষোভ ও প্রতিবাদ। সময় হলে তার প্রকাশ ঘটে। বাংলাদেশে অতীতের রাজনৈতিক ঘটনাবলি তারই সাক্ষ্য দেয়।
অনেক মন্ত্রী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য হুংকার দিচ্ছেন। এসব হুংকারকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করার জন্য এসব হুংকার দিতেই হয়। এসব মন্ত্রীও জানেন, কীভাবে তাঁরা এমপি হয়েছেন। তা ছাড়া পাঁচ বছর থাকার কথা না বললে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ‘অগ্রিম’ পাওয়া যাচ্ছে না। ছয় মাসের মন্ত্রীকে কে ‘অগ্রিম’ দেবে? সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।
দেশে-বিদেশে অনেকে ভান্ড নিয়ে বসে আছে। বারবার ‘পাঁচ বছরের’ হুংকার না দিলে ক্লায়েন্টের আগ্রহ চলে যায়। যারা বেশি বেশি ‘পাঁচ বছর’ ধ্বনি তুলছে, বুঝতে হবে ‘অগ্রিম’ নিয়ে তাদের সমস্যা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি ক্লায়েন্টরা এখন অনেক সচেতন। তারা প্রশ্নবিদ্ধ সরকারের নড়বড়ে মন্ত্রীকে সহজে ‘অগ্রিম’ দিতে রাজি হয় না। কখন কী হয়! সুতরাং নিজেদের ‘স্বার্থেও’ একটা প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা দরকার।
আমাদের ধারণা, তা ২০১৪ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করা উচিত।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: উন্নয়ন ও মিডিয়াকর্মী।

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment