Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , , , » খোলা চোখে- বিচারপতি, এবার হবে তোমার বিচার by হাসান ফেরদৌস

খোলা চোখে- বিচারপতি, এবার হবে তোমার বিচার by হাসান ফেরদৌস

আইনের হাত অনেক দীর্ঘ। সেই দীর্ঘ হাত এখন ক্রমেই খালেদা জিয়াকে আঁকড়ে ধরছে। খালেদার আমলে অনেক অঘটনই ঘটেছে, তবে যে দুটি ঘটনা আর সব ঘটনাকে ছাপিয়ে যায় তা হলো ২০০৪ সালের এপ্রিলে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং সে বছরের ২১ আগস্টের রক্তাক্ত গ্রেনেড হামলা।
শেষের ঘটনাটি এখনো রহস্যাবৃত, কিন্তু প্রথমটির অবগুণ্ঠন খুলে গেছে। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া শেষে রায় হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ জনের ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়েছে। তাঁরা খালেদা জিয়ার আমলে মন্ত্রিসভার সদস্য ও গোয়েন্দা বিভাগের হর্তাকর্তা ছিলেন। সেই সরকারের যিনি প্রধান, যাঁর নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটেছিল, সেই খালেদা জিয়া এখনো অভিযুক্ত হননি। তদন্ত ও বিচারের রায়ে দুটি জিনিস স্পষ্ট।

এক. ১০ ট্রাক অস্ত্র অবৈধভাবে পাচারের ঘটনাটি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাদেক হাসান রুমী নিজে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, যিনি এই মামলার অন্যতম অপরাধী, তাঁর সাক্ষ্য থেকেও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অস্ত্র ধরা পড়ার ঘটনাটি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন।
দুই. খালেদা জিয়া ঘটনার কথা জেনেছিলেন, অথচ এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। প্রমাণিত হয়েছে যে তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রামের স্থানীয় পুলিশ এ নিয়ে থানায় মামলা করেছিল, কিন্তু পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হস্তান্তরিত হয়। তারা এ নিয়ে কার্যত কিছুই করেনি। খালেদার আমলে এ বিষয়ে মামলা করা হয় এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়—এ কথা ঠিক। কিন্তু সেই কমিটির কোনো প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি, কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। উল্টো পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা হয়।
অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও সেই ঘটনার প্রতিকার করেননি—এ জন্য খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করা যায়। সব দেশের অপরাধ আইনেই অপরাধের সাথিকে—আইনের ভাষায় অ্যাকমপ্লিস ও অ্যাকসেসরি—বিচারের সম্মুখীন করার বিধান রয়েছে। ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (এভিডেন্স অ্যাক্ট) অনুসারে, যেকোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ বিষয়ে জ্ঞাত থাকেন, সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে জানা সত্ত্বেও এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত না করেন, বিচার ও তদন্তকাজে বাধা সৃষ্টি করেন, অথবা বিচার ধামাচাপা দিতে চান বা তা বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন, তাহলে তেমন ব্যক্তি অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন।
এই আইন, যা এখনো আমাদের দেশে ফৌজদারি আইনের উৎস, তা অনুসারে খালেদা জিয়াকে যে ১০ ট্রাক মামলার অন্যতম আসামি করা যেত, তা বোঝার জন্য আইনজ্ঞ হতে হয় না। আমরা এখন জানি, অস্ত্রগুলো আসছিল চীন থেকে, আর তা যাচ্ছিল আসামে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল উলফার জন্য। উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া পুরো ঘটনা বাংলাদেশের প্রভাবশালী কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ঘটাতে চেয়েছিলেন। এই প্রভাবশালী কর্তৃপক্ষের একটি হাওয়া ভবন বলে জনশ্রুতি আছে। আদালত তাঁর রায়ের পর্যবেক্ষণেও ঘটনার সঙ্গে হাওয়া ভবনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেছেন। পরেশ বড়ুয়া দেশের এই প্রভাবশালীদের ছাতার নিচেই নিরাপদে ছিলেন। সরকারের অভ্যন্তরে, গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে এতসব কাণ্ড ঘটবে, আর প্রধানমন্ত্রী জানবেন না, তা কী করে হয়?
একই কথা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে। সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এক নেত্রীসহ মোট ২৩ জন নিহত হন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তখনো নিজ দায়িত্বে সমাসীন। হাওয়া ভবনে বসে খালেদা-পুত্র তারেক তখনো সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করছেন, তাঁর মায়ের জ্ঞাতসারে, সম্ভবত তাঁর সমর্থনে। এই হাওয়া ভবনেই আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলাকারীরা বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সরকার সে সময় নানাভাবে চেষ্টা করেছে গ্রেনেড হামলার সব দায়-দায়িত্ব উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে। একদম নিরীহ একজন জজ মিয়াকে সেই হামলায় জড়িয়ে নাটকের চেষ্টাও হয়েছে। এত সব কাণ্ড হবে, অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী কিছু জানবেন না, এ কেমন করে হয়? এ ব্যাপারে খালেদা নিজে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ঘটনার জন্য কোনো দায়দায়িত্ব নেওয়া, অথবা বিচারে ব্যর্থতার জন্যও কখনো দুঃখ প্রকাশ করেননি। পরে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগই সে ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন, যদিও সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন দেখেননি।
সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁর সময়ে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী দায়ী নন, তা মানি। কিন্তু সে ব্যাপারে সরকারপ্রধান দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। দেশে যখন ভালো কোনো ঘটনা ঘটে (যেমন ধরুন, ক্রিকেট খেলায় বড় ধরনের জয়, অথবা নতুন কোনো সেতু নির্মাণ), তার জন্য সরকারপ্রধান কৃতিত্ব দাবি করবেন, অথচ বড় ধরনের ব্যর্থতা, তা গ্রেনেড হামলাই হোক বা ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, তার জন্য নিজের কোনো দায়দায়িত্ব নেই বলে পাশ কাটাবেন, তা কোনো কাজের কথা নয়।
খালেদা জিয়ার আমলে যত অঘটন ঘটেছে, তার প্রতিটির জন্য তিনি দায়ী নন, কিন্তু এর প্রতিটির দায়দায়িত্ব তাঁর—এ কথা কোনোভাবে এড়ানো যাবে না। অপরাধের জন্য যদি দায়ী না-ও হন, অথবা তাঁর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না-ও হন, সেই অপরাধের প্রতিকার অথবা তার সুবিচার বিধান সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সে দায়িত্ব যে তাঁর, এ কথায় তো ভুল নেই। অতএব, সেই দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার দায়ভারই বা তিনি এড়াবেন কী করে? হাওয়া ভবনের দুরাচার, তাঁর আমলের আকাশসমান দুর্নীতি, ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা—এর কোনোটির জন্যই খালেদা জিয়া কেবল নিজ দায়িত্ব স্বীকার করেননি, সামান্য দুঃখও প্রকাশ করেননি। বিস্ময়ের কথা হলো এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছু কথা-চালাচালি ছাড়া সরাসরি কেউ খালেদা জিয়াকে কোনো প্রশ্ন করেননি। তথ্যমাধ্যম থেকেও এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা হয়নি।
এখন সময় বদলেছে। আইনের লম্বা হাত এবার একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষিত হওয়ার পর এখন তো আর গোপন নেই যে, খালেদা জিয়া আর কিছু না হোক, বড় ধরনের এক অপরাধের কথা জেনেও প্রতিকার করেননি। তাঁর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, গোয়েন্দাপ্রধান—তাঁরা সবাই প্রশ্নাতীতভাবে সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। তাহলে খালেদা জিয়া কেন এখনো বিচারের কাঠগড়া এড়িয়ে থাকবেন? সাবেক সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি হয়তো সরাসরি বিচার থেকে অব্যাহতি দাবি করতে পারেন, কিন্তু তা হবে অপরাধেরই স্বীকারোক্তি। এর ফলে আইনগতভাবে অব্যাহতি পেলেও তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন কেন করা যাবে না?
আমাদের আশা, এবার তিনি বাধ্য হবেন এ কথা জানাতে, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিষয়ে তিনি কী জানতেন, কখন তা জেনেছেন এবং প্রতিকার হিসেবে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন। আইন কী করবে জানি না, কিন্তু দেশের মানুষ হিসেবে সেই প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের আছে। তথ্যমাধ্যমেরও উচিত হবে খালেদাকে সরাসরি সেই প্রশ্ন করা।
একটা সময় ছিল, যখন দেশের রাজা যা খুশি করতেন, যাকে খুশি তাকেই শূলে চড়াতে পারতেন। মানবসভ্যতা সেই সামন্ততান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারের যুগ অতিক্রম করেছে গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতায় প্রবেশের মাধ্যমে। আইনের চোখে সবাই সমান, এটি কেবল কথার কথা নয়, এটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম মৌল ভিত্তি। আমরা সেই রকম দায়বদ্ধ আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণ করতে চাই।
এ কথা প্রমাণের একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ হবে সাবেক এই সরকারপ্রধানকে এক বা একাধিক অপরাধের দোসর হিসেবে আইনের দাঁড়িপাল্লায় টেনে তোলা।

হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment