Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , » খালেদা বাড়িতে এরশাদ হাসপাতালে by অমিত রহমান

খালেদা বাড়িতে এরশাদ হাসপাতালে by অমিত রহমান

বাড়িতে বন্দি খালেদা। এরশাদ বন্দি হাসপাতালে। হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী কারাগারে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলঙ্কিত।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ভাষায় জানাজা পাঠ হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের মিলনস্থল জাতীয় প্রেস ক্লাবের গায়ে কলঙ্ক লেপে দেয়া হয়েছে। সেখানে জঙ্গিরা আছেন সে খবর নাকি পুলিশ কমিশনারের কাছে পৌঁছেছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অবশ্য আরও সজাগ ও একপেশে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা জরুরি বলে মনে করছি। প্রেস ক্লাবকে রাখা উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশের বিদেশী বন্ধুরা হঠাৎ চুপ হয়ে গেছেন। বড়দিন আর নববর্ষের কারণে ছুটি- এটাই কি প্রধান কারণ, নাকি তারা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের হঠাৎ দৌড়ঝাঁপ কিছুটা আশারও সঞ্চার করেছে। যদিও তার সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয় আন্তর্জাতিক চাপে। খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা জানিয়েছেন তার উদ্বেগের কথা। এখন বড় এক চ্যালেঞ্জ খালেদার সামনে। দলকে এক রাখতে সক্ষম হয়েছেন শত প্রলোভনের মুখে- এটাকে তার সাফল্য হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু নীতিকৌশল প্রণয়নে মুন্সিয়ানায় যে ঘাটতি ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করার মধ্যে বড় ধরনের রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এখনই তা হয়তো খোলাসা করে বলা ঠিক হবে না। সময়েই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিএনপি যাতে কখনও নির্বাচনমুখী না হয় সেটা ছিল সরকারি কৌশল। কেননা, সরকার জানে বিএনপি যেনতেন ব্যবস্থায় নির্বাচনে গেলেও জয় পেয়ে যাবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় তারা ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব। এর মধ্যে পাঁচ পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন খালেদার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটায়। শাসকরা তখন নিশ্চিত হয়ে যান নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অর্থ হচ্ছে পরাজয় মেনে নেয়া। নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার শামিল। তাই তারা এমন এক কৌশল নেন তাতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। খালেদা টের পেয়ে পথ খুঁজছিলেন। প্রেসিডেন্টের কাছেও গিয়েছিলেন। হাসিনাকে বাদ দিয়ে শাসক দলের যে কাউকে অন্তর্বর্তী সরকারে নেয়া হলে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিতো। অন্তত বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে বিএনপি এই আগ্রহের কথা জানিয়েছিল একাধিকবার। সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয় শেখ হাসিনার কড়া মনোভাবের কারণে। তিনি নিজে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে বলে এসেছেন এমন কোন তৎপরতায় যেন লিপ্ত না হন। যদিও একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট যাতে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার একটি উদ্যোগ নেন সে জন্য অন্যপক্ষের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সর্বজনশ্রদ্ধেয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবিএম মূসার কাছে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পাঠিয়েছিলেন। ওবায়দুল কাদের যখন প্রস্তাবটি নিয়ে এবিএম মূসার কাছে যান তখন তিনি জানতে চেয়েছিলেন এটা কি তার প্রস্তাব, নাকি প্রধানমন্ত্রীর? কাদের তখন বলেন, আমাকে নেত্রী পাঠিয়েছেন। সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে বের হয়ে এবিএম মূসা সরাসরি প্রেসিডেন্ট হাউসে ফোন করে সময় চান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সময় দেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুরো বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। এর আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারা রাজি। বলাবলি আছে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর খালেদা জিয়া তার ১৮ দলের সঙ্গীদের নিয়ে বঙ্গভবনে যান। এই যখন অবস্থা তখন প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে নয়া কৌশল নেন। মাঝখানেই থেমে যায় আবদুল হামিদের সমঝোতা প্রচেষ্টা। শোনা কথা, বিএনপি যদি প্রেসিডেন্টের আন্ডারে কোন নির্বাচনে রাজি হয়ে যায় তখন সর্বনাশ হয়ে যাবে এমন যুক্তিতেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এর কয়েকদিন পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী ভিন্ন এক প্রস্তাব দেন। এতে প্রেসিডেন্ট সায় দেননি। তখন সরকার একদম মরিয়া। যেনতেন প্রকারে নির্বাচন করতে হবে। তাদের কাছে খবর ছিল খালেদা নির্বাচনমুখী নন। এরশাদও দোটানায়। একপর্যায়ে এরশাদকে রাজি করানো হলো। তবে সংশয় ছিল গোড়া থেকেই। এরশাদ যে কোন সময় বেঁকে বসতে পারেন। হঠাৎ করেই এরশাদ বদলে যান। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর এরশাদকে নানাভাবে চাপ দেয়া হয়। এরশাদ সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার নামে কেবিনবন্দি করা হয়। শীর্ষস্থানীয় একজন চিকিৎসকের অধীনে এরশাদকে মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। রাখা হয় কম গুরুত্বপূর্ণ এক কেবিনে। কিন্তু এরশাদ কৌশল আঁটতে থাকেন। একদিন তিনি কর্তব্যরতদের রাজি করিয়ে গলফ খেলতে চলে যান। এ থেকে জাতির সামনে এই বার্তাই দেন যে, তিনি সুস্থ মানুষ। খালি খালি তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এরশাদ এতটা সাহস কিভাবে করলেন তা নিয়ে অনেকেই অনেক অঙ্ক মেলাচ্ছেন। ওদিকে তার দলকে তিন টুকরো করে আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু এরশাদ তার সিদ্ধান্তে অনড়। বিভিন্নভাবে বার্তা পাঠিয়ে বলছেন, জেলে ছিলাম। আবার যাবো। তবুও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবো না। এরশাদ মনে করেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন এক তামাশা। এই নির্বাচন বাংলাদেশকে, গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করবে। গৃহবন্দি খালেদা কি করবেন? দলের সক্রিয় নেতারা জেলখানায়। একের পর এক অবরোধ-হরতাল দিয়ে কাজ হচ্ছে না। সরকার টলছে না। তারা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে চায়। দেশের অর্থনীতি পঙ্গু। বিনিয়োগ বন্ধ। প্রায় ৫শ’ গার্মেন্ট কারখানায় তালা। জনদুর্ভোগ চরমে। অবরোধে সরকারের নড়া তো দূরের কথা, তারা নিজেরাই অবরোধ পরিস্থিতি তৈরি করে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির এ এক বীভৎস রূপ। আদালত প্রাঙ্গণের ঘটনা থেকে এটা বোধকরি কারও বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা নয়। একজন মহিলা আইনজীবীর ওপর যেভাবে লাল ঘোড়া দাবড়ানোর মতো লাঠি পড়েছে, তাতে বাংলাদেশ কেন, বিশ্ববাসী চমকে উঠেছেন। ১৩৭টি দেশে এই ছবিটি ছাপা হয়েছে বার্তা সংস্থাগুলোর বদৌলতে। লাখ লাখ অনলাইনে এটা স্থান পেয়েছে শীর্ষ ছবি হিসেবে। ধীরস্থির খালেদা এখন হঠাৎ করেই মেজাজ খারাপ করছেন। এটা তার চরিত্রের সঙ্গে একদম বেমানান। বন্দিদশায় মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে একটি জেলার প্রতি তার রাগ দেখানোটা ঠিক হয়নি। এটা সবাই জানেন, বিশেষ জেলার প্রতি বর্তমান শাসকদের বড্ড বেশি টান। মনে হয় অন্য কোন জেলার লোকজনের প্রতি তেমন আস্থা রাখতে পারছেন না। এটা ভাল না মন্দ আখেরেই তা প্রমাণিত হবে। খালেদাকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছিল এতে কোন সন্দেহ নেই। এতে তিনি উত্তেজিত হবেন কেন? যা-ই হোক, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অন্য পথে। আমরা সবাই জানি নৈরাজ্য আর রাজনৈতিক শূন্যতা থেকে দেশে দেশে একনায়কতন্ত্রের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশ সে পথে অনেক আগে থেকেই হাঁটতে শুরু করেছে। সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে একপক্ষীয় শাসনের যাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এরশাদ কি বুঝে হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছেন। এরপর কি? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সামনে যে ঘোর অন্ধকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন হয়ে গেলে অন্য এক বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাবো। অন্য এক মডেলের গণতন্ত্র উকিঝুঁকি মারছে। যে গণতন্ত্রে ভিন্নমতের স্থান হয়তো হবে না। হলেও তা হবে একদম নিয়ন্ত্রিত। আর স্বাধীন গণমাধ্যম! তা নিয়ে পরে আলোচনা করবো। যদি সুযোগ থাকে।

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment