Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , , » রাজনীতি- ‘অল্প’ নয়, আরও গণতন্ত্র by এ কে এম জাকারিয়া

রাজনীতি- ‘অল্প’ নয়, আরও গণতন্ত্র by এ কে এম জাকারিয়া

নির্বাচন না হওয়ার চেয়ে কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনও ভালো—এ ধারণা বোস্টন গ্লোব-এর নিয়মিত কলাম লেখক ও মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক টম কিনের। একেবারেই মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সিনেটের আগাম বিশেষ নির্বাচনে ভোটারদের কম অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেছেন এক কলামে।
লিখেছেন, একেবারে গণতন্ত্র না পাওয়ার চেয়ে অল্প একটু গণতন্ত্র পাওয়াও ভালো। বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পক্ষে এটা একটা ভালো যুক্তি হতে পারে! নির্বাচন না হওয়ার চেয়ে তো অন্তত একটি নির্বাচন হয়েছে, গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু আমরা কি এখন ‘অল্প’ গণতন্ত্র নিয়েই খুশি থাকার অবস্থায় আছি, নাকি আমাদের চাওয়াটা বেড়েছে? ২০০৮ সালে সব পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ গত মেয়াদের পাঁচ বছর পুরো করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে বা এর মধ্য দিয়ে যে নতুন সরকার এসেছে তাদের কাছ থেকে তো আরও গণতন্ত্রই স্বাভাবিক চাওয়া! গণতন্ত্রের পথে এগোনো মানে ‘অল্প’ গণতন্ত্র নয়, আরও গণতন্ত্র, বেশি গণতন্ত্র।

কেনের মত হচ্ছে, একটি মন্দ নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন না-হওয়া হতে পারে না। সে দিক থেকে দেখলে নির্বাচন না-হওয়ার চেয়ে ৫ জানুয়ারি অন্তত একটি ‘মন্দ’ নির্বাচন হয়েছে। মানে মন্দের মধ্যে ভালো। কিন্তু এ ধরনের ‘বিতর্কিত’ বা ‘একতরফা’ মন্দ নির্বাচন সব সময়ই আগাম নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করে। নব্বইয়ের পর এ ধরনের একটি মন্দ নির্বাচনের নজির ছিল ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার হয়েছিল, তা টিকে ছিল দুই মাসের কম।
ইতিহাসের কখনো হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না। এবারের ৫ জানুয়ারির মন্দ নির্বাচনের পর এই নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিল যে দল ও জোটটি, তার নেতা বেগম খালেদা জিয়াও কার্যত এই সরকারকে ‘পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের জন্য এর চেয়ে বেশি সময় দিয়ে ফেলেছেন। ‘অতি দ্রুত সংলাপে বসে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অতি দ্রুত নির্বাচন’ দেওয়ার যে আহ্বান তিনি ২০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জানিয়েছেন, তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকার যদি আজই সংলাপ শুরু করে এবং ‘পুনরায় একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়, তার পরও মাস ছয়েক সময় লেগে যাওয়ার কথা। ২০১৪ সালের মন্দ নির্বাচন যে সরকার উপহার দিয়েছে তা যে ’৯৬-এর মন্দ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা সরকারের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এবারের মন্দ নির্বাচনের আরও একটি দিক হচ্ছে, এই নির্বাচনের পর দেশে এখন একটি স্বস্তির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ’৯৬-এর মন্দ নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ছিল পুরো উল্টো। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সবগুলো প্রধান বিরোধী দলের হরতাল ও আন্দোলনের কর্মসূচিতে তখন দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০১৪ সালের ‘বিতর্কিত’ ও ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর আমরা দেখলাম বেগম খালেদা জিয়া পতন না-হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ‘অবৈধ সরকারের’ বিরুদ্ধে ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দেশে আপাতত হরতাল বা অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। নির্বাচন বর্জন বা প্রতিরোধে সহিংস ও নাশকতার কৌশল নিয়ে পুরো ব্যর্থ দলটির নেতা খালেদা জিয়ার সামনে অবশ্য এখন ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচি না দেওয়ার কোনো বিকল্প আছে বলেও মনে হয় না।
তবে নির্বাচন-পরবর্তী এই যে স্বস্তির পরিস্থিতি, এটা নিয়ে নতুন সরকারের স্বস্তি বা আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিল জামায়াত-শিবির ও হেফাজত, তার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ ও নাশকতার কর্মসূচি যুক্ত হওয়ায় দেশবাসী এক দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। যেভাবেই হোক, এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছিল জনগণ। একটি মন্দ নির্বাচন হলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সেই পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দিয়েছে। জনগণের মধ্যে স্বস্তির ভাবটি সে কারণেই।
কিন্তু এ ধরনের স্বস্তির পরিস্থিতি অনির্দিষ্ট সময় বা বর্তমান সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ পর্যন্ত বজায় থাকবে—এমন আশা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয়। ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে এক-এগারোর সরকারে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছিল জনগণ। সেই স্বস্তি যে বেশি দিন থাকেনি, তা নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যাইনি। সেনাসমর্থিত সেই সরকারের ভুল ও বাড়তি নানা পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ টের পেয়েছিল এক-এগারোর সরকার। সবকিছু থেকে সরে এসে সেই সরকারকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকেই পুরো মনোযোগ দিতে হয়েছিল এবং তা অনুষ্ঠান করে মানে মানে সরে যেতে হয়েছিল।
তবে আবারও বলি, ইতিহাসের কখনো হুবহু পুনরাবৃত্তি হয় না আর বর্তমান সরকার এক-এগারোর সরকারের মতো অনির্বাচিত সরকারও নয়, একটি মন্দ নির্বাচনের মাধ্যমে হলেও নির্বাচিত সরকার। কিন্তু বর্তমান স্বস্তির পরিস্থিতি যে বেশি দিন থাকবে না, সেটা অনুমান করা যায়। আর দল হিসেবে বিএনপি বর্তমানে যে কোণঠাসা অবস্থায় আছে, সেই পরিস্থিতির আদৌ কোনো পরিবর্তন হবে না—এমন ভাবাটাও বোকামি হবে। বিএনপি নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের ৯৭টি উপজেলায় যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে বিএনপি জোরেশোরেই নামছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলকে সক্রিয় করার চেষ্টা করবে বিএনপি, এই নির্বাচনের ফলাফলও একটি বড় প্রভাব ফেলবে সামনের দিনগুলোর রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে। ৫ জানুয়ারির মন্দ নির্বাচন তাই যেকোনো সময়ে আগাম নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
আমরা মানি বা না মানি নির্বাচন বা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বিষয়টি এখন আর কোনো অর্থেই ‘অভ্যন্তরীণ’ ব্যাপার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মুখে যতই ‘দেশটি ও দেশটির জনগণের নিজস্ব ব্যাপার’ ধরনের শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করুক, বাস্তবে বিষয়টি তা নয়। যদি সেটাই হতো, তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এত দৌড়ঝাঁপের কোনো ব্যাপার ছিল না। আর আওয়ামী লীগও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বা এখন ভাবমূর্তি উদ্ধারে এত তত্পর হতো না অথবা ঘরে বসে কর্মসূচি ডেকে বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকত না।
বিশ্বের যেকোনো দেশের নির্বাচনেরই এখন একটি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা লাগে। জিম্বাবুয়ে, তাজিকিস্তান বা ঘানা, টোগো বা মালির মতো দেশগুলো অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এসব গ্রহণযোগ্যতার ধার না ধেরেই টিকে আছে। কিন্তু এসব দেশ আন্তর্জাতিক মহলে আর যা-ই হোক, ‘গণতান্ত্রিক দেশ’ হিসেবে খুব একটা বিবেচিত হয় না। বাংলাদেশ কি এই দেশগুলোর কাতারে নাম লেখাতে চায়? এই দেশগুলোর নামের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হোক সেটাই কি আমাদের চাওয়া?
৫ জানুয়ারির মন্দ নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি সবাই এড়িয়ে গেছে। নির্বাচনের পর বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ ও সংস্থাগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রসঙ্গটি ছিল ঠিকই, কিন্তু নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্টির বিষয়টিও ছিল পরিষ্কার। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দ্রুত সমঝোতায় আসা, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, এমন একটি নির্বাচনের দ্রুত ব্যবস্থা করা—এটাই ছিল প্রতিক্রিয়াগুলোর মূল সুর। মানে ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, তার বদলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া।
৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে তা বাংলাদেশের একটি বাস্তবতা। নির্বাচন না হওয়ার চেয়ে হয়তো মন্দ নির্বাচন ভালো। আবার মন্দ নির্বাচন আগাম নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করে এবং সেটি একটি ভালো নির্বাচনের সম্ভাবনাকেই সামনে নিয়ে আসে। অল্প গণতন্ত্র নয়, আমাদের চাওয়া বেশি গণতন্ত্র। মন্দ নির্বাচন নয়, আমাদের চাওয়া ভালো নির্বাচন। আগামী নির্বাচন যখনই হোক, সেটি হতে হবে আরও গণতন্ত্রের নির্বাচন!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment