Recent News of WikiBangla ধূমকেতু নিউজ ম্যাগাজিন

Home » , , , , , » ক্ষমতা- আমাদের আম-আদমিরা কোথায়? by ওয়াসি আহমেদ

ক্ষমতা- আমাদের আম-আদমিরা কোথায়? by ওয়াসি আহমেদ

বিস্ময়কর হলেও মানতে হবে, পৃথিবী থেকে আম আদমি লুপ্ত হয়নি। এই সেদিন ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির (এপিপি) অভাবিত সাফল্যের সুবাদে তাদের খোঁজ পাওয়া গেল।
রাজনীতির গৎবাঁধা ছক উল্টে দিয়ে তারা তাদের শক্তিমত্তাকেই জানান দিল না, বড় কাজটি যা করল তা এক কথায় প্রকাশ করলে বলতে হয় প্রত্যাখ্যান। মতলববাজ, দুর্নীতিকবলিত, প্রচলিত রাজনীতিকে সরোষ প্রত্যাখ্যান।

যে যেভাবেই দেখার চেষ্টা করুন, ঘটনাটা তথাকথিত নেতিবাচক ভোটের কারসাজি নয়। সাম্প্রতিক তৃতীয় বিশ্বে গণতন্ত্রচর্চা বলতে যা বোঝায় তা চার বা পাঁচ বছরের বিরতিতে নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার ভোট প্রয়োগের মধ্য দিয়ে শাসকবদল। সামগ্রিক বিচারে প্রত্যাশার চেয়ে এখানে ক্ষোভ-হতাশাই বেশি ক্রিয়াশীল। কিন্তু দিল্লিতে বিপুলসংখ্যক আম-আদমি এপিপির পক্ষে রায় দিয়ে যা করল তাতে অনেকেই প্রত্যাশা দেখতে পাচ্ছেন। হ্যাঁ, ক্ষোভ-হতাশা রয়েছে শাসককুলকে প্রত্যাখ্যানে, তবে ভুঁইফোড় এপিপির পক্ষাবলম্বনের মধ্য দিয়ে প্রত্যাখ্যানের শক্তিতে তারা আশার আলোর খোঁজই করেছে। সে আশা কতটা ফলবান হবে বা আদৌ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সে অন্য বিতর্ক।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এপিপিকে রাজনৈতিক দল বলার সময় এখনো আসেনি। আন্না হাজারের সঙ্গে মতভিন্নতার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল গড়া, নির্বাচনে অংশ নেওয়া, শীলা দীক্ষিতের মতো ডাকসাইটে মুখ্যমন্ত্রীকে হটানো, এমনকি সরকার গঠনের পরও এপিপিকে ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড়জোর একট সরব সিভিল সোসাইটি আন্দোলনের মুখপাত্র আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। তবে বড় যে কাজটি তারা করেছে তা বিলুপ্ত হতে বসা আমজনতাকে দিয়ে রাজনৈতিক নষ্টামিকে ঝাঁটাপেটা করা। অনেকটা আক্ষরিক অর্থেই, এপিপির নির্বাচনী প্রতীক ঝাঁটা।
ভোট যদি রাজনীতিচর্চার মুখ্য নিয়ামক হয়, তাহলে সেই ভোটের মাধ্যমেই রাজনৈতিক বজ্জাতিকে ঝাঁটার ঘায়ে ঘায়েল করা সমসাময়িক কালের বড় ঘটনা। ব্যতিক্রমীও বটে। রাজনীতিবিদেরা জনগণ জনগণ করে যতই গলার শিরা ছিঁড়ে ফেলার কায়দা করুক, তারা নিশ্চিত ধরে নেয় যাদের দোহাই উঠতে-বসতে তারা পাড়ে তারা অদৃশ্য, পঞ্চভূতে বিলীন। কিন্তু প্রবল ধাক্কায় খোঁয়ারি ভেঙে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কথাবার্তায় বেফাঁস কিছু সত্য ঠিকই বেরিয়ে পড়েছে। কংগ্রেসের ভরাডুবির আগে মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত সদম্ভে বলেছিলেন আম আদমি বলে কিছু তাঁর রাডারে ধরা পড়ছে না। আর ভরাডুবির পর কংগ্রেসের মন্ত্রী সচিন পাইলটের মতে, ঘটনাটা বড়ই আশ্চর্যজনক (অ্যাশটোনিশিং)। আশ্চর্য হওয়ার পেছনে তাঁর বক্তব্য, সাধারণ মানুষের পক্ষে একটা কঠিন পরিস্থিতিতে এক জায়গায় জড়ো হয়ে নিজেদের এভাবে প্রাসঙ্গিক ও অর্থময় করে তুলতে পারা ঘটনা হিসেবে সম্পূর্ণ নতুন, বিগত কয়েক যুগে যার নজির নেই। এটা পরিষ্কার, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিহীন সাধারণ মানুষ তথা আম আদমির অস্তিত্ব সচিন পাইলটদের হিসাবনিকাশে ছিল না।
ব্যাপার যা দাঁড়াল, আম আদমি আছে, তার অপার শক্তি নিয়েই। আম আদমি কারা? তারা কি জোট-গোত্রহীন, সামাজিকভাবে পরিচিতিহীন, পশ্চাৎপদ, ছন্নছাড়া বেয়াকুব জনগোষ্ঠী? রাজনীতিতে আসক্তি নেই বলে কি তারা রাজনীতি-অসচেতন, নাকি রাজনীতিবিমুখও? বিমুখ হতে গেলে কিন্তু বেয়াকুবি চলে না, সচেতনতার দরকার হয়। শিল্পবিপ্লবের সময় সমাজের মানুষজনকে মোটামুটি তিন শ্রেণীতে ভাগ করার রেওয়াজ ছিল—কুলীন (নোবিলিটি), যাজক (ক্লার্জি) এবং সাধারণ মানুষ (কমোনার)। আজকের দিনে এই শ্রেণীভাগের প্রাসঙ্গিকতা সেভাবে না থাকলেও কৌতূহলের ব্যাপার হলো, সাধারণ মানুষ যারা অভব্য-অভদ্র না হলেও কুলীন বা এলিট মোটেও নয়, ধর্ম-কর্ম করলেও মোল্লা-পুরুত-পাদরি নয়, তাদের নিয়ে টানাহেঁচড়ার শেষ নেই। অন্য দুই সম্প্রদায়কে নিয়ে কালেভদ্রে কথা ওঠে, বিতর্ক হলে সেটা একাডেমিক পর্যায়েই থেকে যায়। মূলত তারা এলিট গোত্রবদ্ধ। উন্নত ও তৃতীয় বিশ্বের এলিটদের মধ্যে ফারাক ম্যালা, যদিও মনস্তত্ত্বের রসায়নে বিভেদ নেই। অন্যদিকে মাত্রার তারতম্য সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মতিগতি সব বিশ্বেই এক। এখানে বলা উচিত, তৃতীয় বিশ্বে খুদে এলিটদের দাপটে সাধারণেরা অচ্ছুত আম আদমিতে পর্যবসিত। সর্বসাধারণ তারা নয়, রাজনীতিবিদেরা জনগণ বলে তাদের বোঝাতে চাইলেও তারা সেই জনগণও নয়। সুতরাং মূল প্রশ্ন তারা কারা?
দিল্লি নির্বাচনে তাদের যে পরিচয় উঠে এসেছে তাতে তারা ঘোরতর রাজনীতিসচেতন, তবে বিদ্যমান রাজনীতিতে আস্থাহীন। তারা তথাকথিত আদর্শিক দর্শনের তোয়াক্কা করে না। দরিদ্র-অবস্থাপন্ন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বেকার-পেশাজীবী মিলে তারা যে জায়গায় এককাট্টা, তা তাদের আত্মোপলব্ধিতে। লেজুড়বৃত্তিহীন বলে নিজ নিজ আত্মোপলব্ধিকে ইচ্ছামতো শাণাতে তারা সক্ষম, যা রাজনৈতিক দলের ধ্বজাধারীদের পক্ষে অসম্ভবই নয়, কল্পনাতীতও। এপিপি তাদের একত্র করেছে, যূথবদ্ধতার শক্তি জুগিয়েছে। যেহেতু তারা আম আদমি, কঠিন তত্ত্বকথায় আগ্রহ নেই, এপিপি তাদের সোজাসাপটা বলেছে—দুর্নীতি হটাও, রাজনীতি চোরে ভরে গেছে, চোরদের বিদায় করো।
যে কারণে এত কথা এবার সে প্রসঙ্গে আসতে হচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা আম-আদমির দেখা কবে পেয়েছি? আমরা সংগঠিত গণ-আন্দোলন দেখেছি, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান দেখেছি আর গোটা জাতির পরাধীনতার গ্লানি ঘোচাতে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধ ৪২ বছর আগে শুরু হয়ে আজও শেষ হয়নি। বেশ কটা জাতীয় নির্বাচনও দেখা সারা, অচিরে আবারও দেখতে যাচ্ছি। যত রূঢ়ই শোনাক, আমজনতাকে আলাদা করে খুঁজে বের করা মুশকিল। তারা ছিল, তবে জনারণ্যে আচ্ছন্ন। প্রগতিচিন্তার ইচ্ছাপূরণের খোরাক জোগাতে এ নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলেও কিছু যায়-আসে না। আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াপনার অন্যতম ক্ষত হলো ইচ্ছাপূরণের কারসাজিতে প্রগতিশীল হতে চাওয়া।
এখন যা প্রশ্ন, আমাদের মতো হতদরিদ্র, চিরবঞ্চিত মানুষের দেশে স্বতন্ত্র, স্বাধীন, অমুখাপেক্ষী আমজনতার অস্তিত্ব নেই কথাটা বলতে কি আমরা কুণ্ঠিত? গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা আর কত দুর্নীতিবাজ হলে, রাজনীতি কতটা বেলাজ-বেহায়াপনা উগরে দিলে ১৬ কোটি মানুষের অন্তত একটা উল্লেখযোগ্য অংশ রাজনৈতিক দলবাজিমুক্ত নিখাদ আমজনতায় পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে? তথ্য বলছে, এ দেশে আমাদের অবাধ দুর্নীতি ও অপশাসনের পালাবদলময় রাষ্ট্রব্যবস্থা পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত, ধনী-নির্ধন সব দেশকে টেক্কা দেওয়ার নজির রেখেছে। আমাদের তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসীন হওয়ামাত্র আলাদিনের দৈত্যের ভেলকিবাজিতে অতি অনায়াসে নিজেদের বিত্ত-বৈভবের শনৈঃ শনৈঃ স্ফীতি ঘটান। নিজেদের ঘটান, তাঁদের পতিব্রতা স্ত্রীদের ঘটান, আত্মীয়-পরিজনও এ থেকে বাদ পড়েন না। আমাদের জ্যেষ্ঠতম মন্ত্রী জনসমক্ষে এর সরল-সোজা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান, ক্ষমতায় বসলে সম্পদ বাড়াই স্বাভাবিক ঘটনা। খবরের কাগজের পাতায় এ নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা চলছে। এ পর্যন্তই।
এমন অকপট ব্যাখ্যা, যা আগে কারও মগজে গজায়নি, সম্পদশালী হওয়ার অত্যন্ত সুচারু ও নির্ঝঞ্ঝাট পথই বাতলে দেয় না, সম্পদ আহরণের একটা তত্ত্বও দেশবাসীর কাছে পেশ করে। ক্ষমতায় আরোহণ মানে তো কেবল মন্ত্রী-সাংসদ মিলে শ কয়েক মানুষের সম্পদ-আকাঙ্ক্ষাকেই চরিতার্থ করা না, রাষ্ট্রব্যবস্থার স্তরে স্তরে, নানা অন্ধি-সন্ধিতে পাহারারত বেশুমার সহগামী ও তাদের তাঁবেদারদেরও সম্পদশালী করা। হ্যাঁ, কাজটা সম্পদ আহরণ, চুরি নয়।
চুরি যে করে সে সোজাসাপটা চোর। সিঁধ কেটে বা গা-গতরে চপচপে তেল মেখে ঘুমন্ত গৃহস্থের ঘরে রাতের আঁধারে হানা দেয় যারা, তাদের চোর বলা হয়। তাদের খুব সাবধানি হতে হয়, কারণ ধরা পড়ার ভয়। চোর বা তার মামাতো-খালাতো ভাই পকেটমাররা নিম্ন শ্রেণীর জীব। এদের সঙ্গে শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত মধ্যবিত্তের কোনোরূপ জ্ঞাতিগত সম্পর্ক বা কিনশিপ নেই।
অন্যদিকে ক্ষমতায় চড়ে চুরির অক্লান্ত সাধনায় যাদের অশেষ প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, তাদের প্রতি আপামর মধ্যবিত্তের জ্ঞাতিগত ও সামাজিক পক্ষপাত এতই প্রবল, সুভাষণের আড়াল খুঁজে চুরিকে চুরি না বলে বলা হয় সম্পদ আহরণ। জ্যেষ্ঠতম মন্ত্রী নিজে সম্পদশালী না হয়েও তত্ত্বটি কেন ফলাও করে জাহির করলেন? দেশবাসী জানে তাঁর অবস্থান তাঁর রাজনৈতিক সহগামীদের থেকে যথেষ্ট তফাতে। সামাজিক মনস্তাত্ত্বিকেরা এর পেছনে যে কারণটি অবশ্যই খুঁজে পাবেন তা এই জ্ঞাতিত্ব। আমাদের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাতাবরণে যার লালন প্রশ্নাতীত এবং আপাতদৃষ্টিতে যার বাড় অপ্রতিরোধ্য।
এ সত্ত্বেও এ কথা বিশ্বাস করা কঠিন, একচেটিয়া রাজনৈতিক জ্ঞাতিত্বের মায়ায় দেশের কমবেশি ১৬ কোটি মানুষই মোহান্ধ, অবরুদ্ধ। মায়ার এ বলয় অনেক বড়, সন্দেহ নেই; তবে এর বাইরে যারা, যাদের বলতে পারি আম আদমি, তারা কোথায়? তারা নেই এ কথা হঠকারিতামূলক। এ দেশে মৃত্যু অবধি থাকব বলে যারা টিকে আছি, তাদের বিশ্বাস করতেই হবে তারা আছে, হয়তো জনারণ্যে আচ্ছন্ন হয়ে।
তাদের তালাশ করতে হয়, এক জায়গায় জড়ো করতে হয়।
কারা করবে তালাশ? ঘুরিয়ে বললে, কে বা কারা কিসের যোগ্যতায় তাদের কাছে পৌঁছাবে বা পৌঁছার সাহস করবে? প্রশ্নটা যত অবধারিতই হোক, রাজনৈতিক মৎস্যজীবীদের জাল থেকে বেরোতে গেলে এ প্রশ্ন করে করে জবাবের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া উপায় নেই।
ওয়াসি আহমেদ: কথাসাহিত্যিক।

Written by : Nejam Kutubi - Describe about you

"And still even today I hear the mournful tune of the Sanai"Say,Valiant,High is my head!I am the rebel,the rebel son of mother-earth!Ever-high is my head.O travellers on the road of destruction,Hold fast Ur hammer,pick up Ur shovel,Sing in unison And advance.We created in the joy of our arms.We shall now destory at the pleasure of our feet.‘O Lord,For eight years have I lived And never did I say my prayers And yet,did U ever refuse me my meals for thet?Ur mosques And temples are not meant for men,Men heve no right in them.The mollahs And the Priests Heve closed their doors under locks And keys.’Comrades, Hammer away at the closed doors Of those mosques And temples,And hit with Ur shovel mightily.For,climbing on their minarets,The cheats are today glorifying Selfishness And hypocrisy.And creatr a new universe of joy And peace.Weary of struggles,I,the great rebel,Shall rest in quiet only when I find The sky And the air free of the piteous groans of the oppressef.Only when the dattlefields are cleared of jingling bloody sabres Shall I,weary of struggles,rest in quiet,I,the great rebel.I am the rebel-eternal,I raise my head beyond this world,High,ever-erect And alone!.

Join Me On: Facebook | Twitter | Google Plus :: Thank you for visiting ! ::

0 comments:

Post a Comment